বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করতে হলে দলীয় পদ ছাড়তে হবে। মেয়র পদে দল মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন কার্যক্রম পরিচালনা করার সুবিধার্তে মহানগর আওয়ামী লীগ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মহানগর আ’লীগের এ সিদ্ধান্তে বিসিসি নির্বাচনে ৩০টি ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের মধ্যে যারা কাউন্সিলর পদে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তারা পড়েছেন মহা বিপাকে। এদের মধ্যে কয়েকজন বর্তমান কাউন্সিলরও রয়েছেন। দলের এ সিদ্ধান্তের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মহানগর আ’লীগের সভাপতি অ্যাড. গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল। তিনি জানান, মহানগর আ’লীগের কার্যনির্বাহী কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করলে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি নিতে হবে। গত শনিবার রাতে ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সংগ্রহ অভিযান কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বক্তৃতায় কার্যনির্বাহী কমিটির এ সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেন তিনি। দলের এ সিদ্ধান্তের পক্ষে ব্যাখ্যা দিয়ে গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল বলেন, মেয়র প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় প্রতিটি ওয়ার্ডে মূল দায়িত্বে থাকেন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। তারা কাউন্সিলর প্রার্থী হলে নিজের নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন। ফলে মেয়র প্রার্থীর প্রচার কার্যক্রম বিঘœ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এসব কিছু বিবেচনায় এনে মহানগর আওয়ামী লীগ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নগরের ৩০ ওয়ার্ডের ৬০ জন সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে কমপক্ষে ২৫ জন
কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বিসিসি’র বর্তমান পরিষদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাধারণ কাউন্সিলর আছেন ৭ জন। তারমধ্যে কয়েকজন মহানগরের সম্পাদকীয় পদের পাশাপাশি ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদেও রয়েছেন। মহানগর আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক গাজী নাইমুল ইসলাম লিটু একই ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর। কাউন্সিলর নির্বাচন নিয়ে মহানগর আ’লীগের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পদধারীরা দলীয় সমর্থনে কাউন্সিলর প্রার্থী হবেন। সেক্ষেত্রে প্রত্যেককে দলীয় সিদ্ধান্ত মেনেই প্রার্থী হতে হবে। ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি ও মহানগরের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হাসান মাহমুদ বাবু ওই ওয়ার্ডের সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থী। তিনি বলেন, দলের মঙ্গলের জন্য মহানগর কমিটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দলের প্রতি আনুগত্য থাকলে সকলকে দলীয় সিদ্ধান্ত মানতে হবে। বাবু বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে ৫১ সদস্যের কমিটি রয়েছে। কাউন্সিলর পদে নির্বাচনের জন্য সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের কেউ দলীয় পদ ছাড়লে মেয়র পদের নির্বাচনী কার্যক্রমে কোন বিঘœ ঘটবে না। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওয়ার্ড আ’লীগের শীর্ষ কয়েক নেতা বলেন, এমন সিদ্ধান্তের সুযোগ নিবেন অরাজনৈতিক ও কালো টাকার ব্যক্তিরা। যার ফলে নাগরিক সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে বঞ্চিত হবেন দলের পরীক্ষিত নেতারা। এ ব্যাপারে বরিশাল মহানগর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. একেএম জাহাঙ্গির বলেন, দলীয় সিদ্ধান্ত মেনেই সবাইকে চলতে হবে। দলে অনেক প্রার্থী আছেন। মহানগর আ’লীগ যোগ্য ব্যক্তিকেই কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে সমর্থন দিবে।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply